প্রেম যেমন সুখের রাজপ্রাসাদ বানাতে পারে
ঠিক তেমনই এই প্রেমই মুহূর্তে তাসের ঘরের মতো
নিঃশব্দে ভেঙে দিয়ে যায়
নিজের শেষ অবলম্বন দিয়ে বানানো সুখবাড়িটা।
আমরা শুধুই প্রেমের কাছে ক্ষণিকের অতিথি মাত্র।
‘আমার’ বলে কিছু হয়না পৃথিবীতে।
যতক্ষণ আমরা ভালো থাকি ততক্ষণই সুখ আমাদেরই অধিকৃত।
নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার পর একমুহূর্তও যেন একেকটা অসহনীয় অধ্যায়
যার শুরু থাকলেও শেষ জানা নেই।
কাছের মানুষটা যখন সবকিছুকে ভাসিয়ে দেয় নিয়তির পথে,
তখন ভাগ্যেরও পরিহাস করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকেনা।
তারপরেও কিছু অনুভূতি থেকে যায়
বিপর্যয়ের কালো মেঘের অন্তরালে ঘনীভূত কালশিটের মতো।
এদের কোনো নাম হয়না,ঠিকানা হয়না,হয়না কোনো আগলে রাখার মতো মানুষ।
দগ্ধে যাওয়া এই মনের বিতৃষ্ণায় মরে যায় একদা সবুজ স্বপ্নগুলো।
সব ছাই উড়িয়ে অমূল্যরতন পাওয়া যায়না।
কিছু চোখের জল হয়ে ঝড়ে পড়ে।
যেই ইচ্ছেরা কোনো এক পরিযায়ীর হাত ধরে ডানা মেলতে চেয়েছিল অনন্ত আকাশের বুকে
তারা হঠাৎই নিঃসঙ্গ হয়ে যায়,
সেই বুকেই এসে বেঁধে অভিযোগ,দোষারোপ আর ব্যর্থতার শানিত তীর।
রক্ত ক্ষরিত হতে হতে রক্তের শেষ বিন্দুটুকুও
তৃষ্ণার্তের মতো গুমরে ওঠে অতীতের বিষণ্ণতায়।
তারপরেও আমাদের একটা ছাদ হয়,আমাদের যত্নে বেড়ে ওঠে একটা জুঁই চারা।
সব অতীত ভুলে আমরা আবার ‘ঘর ঘর’ করে মরি।
কিন্তু একটা ঘর মানুষকে কতোটাই বা আশ্রয় দিতে পারে,
যদি না ঘরের মানুষটাই আপন হয়!